ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

যুবকেরা স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্ন দেখায়, যুব সমাজ হলো দেশের প্রাণশক্তি -চকরিয়া যুব পরিষদের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :

ককক্সবাজারের চকরিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধনভুক্ত জেলার অন্যতম সংগঠন চকরিয়া যুব পরিষদ একঝাঁক তরুণ যুবকদের নিয়ে আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্টান আয়োজন করেছে।১৪জুন(বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের রেস্টুরেন্ট ধাঁনসিড়ি কনভেনশন হলরুমে এ আলোচনা সভা ও ইফতার পার্টি অনুষ্টিত হয়।চকরিয়া যুব পরিষদের সভাপতি তানজিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল গণি পারভেজের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার(উপপরিদর্শক) তানবির আহমেদ।এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া যুব পরিষদের উপদেষ্ঠা ও ফিল্ম ফর পিস ফাউন্ডেশন নির্বাহী প্রধান পারভেজ সিদ্দিকী, চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক আব্দুল খালেক, যুব পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি চৌধুরী ফাহাদ বিন ফিরোজ সোহান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, আলা উদ্দিন চৌধুরী, আসাদুজ্জামান তৌহিদ, নুরুল আবছার, নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি নকিবুল মওলা, সহ সাধারণ সম্পাদক এ হোসাইন, সদস্য মহি উদ্দিন ভুট্টুসহ প্রমুখ।অনুষ্টানে যুব পরিষদের সভাপতি ও অতিথিরা  তাদের বক্তব্য বলেন,বর্তমানে দেশের সামাজিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে সব সময় তরুণদের উপেক্ষা করা হয়। তরুণদের উপেক্ষা করে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বতর্মানে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশী তরুণ যুবক।এই যুবকরাই হচ্চে উন্নয়নের প্রধান শক্তি।এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়। যুগে যুগে লেখক, কবিরা গেয়েছেন তারুণ্যের জয়গান। তারুণ্য মানে নবজোয়ারে বিপুল শক্তি, তরুণ মানে নবোদ্যমতা। সব বাধা, ক্লেশ দূর করতে যুবশক্তির বিকল্প কিছুই হতে পারে না।   তরুণরা সঠিক দিক-নির্দেশনা পেলে তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তরুণ যুবকদের দেশের উন্নয়ন, মাদক, মানবাধিকার ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে। যা কিছুই অর্জন করি না কেন, তার সিংহভাগের সময়ই তারুণ্য। দেশের যুব সমাজ হলো দেশের প্রাণশক্তি। যুব সমাজ যত বেশি দক্ষ হবে, দেশ তত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হবে।যুবকেরা স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্ন দেখায়, যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সমাজকে পরিবর্তন করে। বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করে। যারা বয়োজ্যেষ্ঠ তাদের স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব তুলে নেয় যুব সমাজ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশকে এগিয়ে নিতে মূল ভূমিকা রেখেছিল কিন্তু তরুণ বা যুব সমাজই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বর্তমান যুব সমাজের একটি অংশ আজ দ্বিধাগ্রস্ত। নানা কারণে তারা বিভক্ত, হতাশাগ্রস্ত। এ অবস্থার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে সর্বনাশা মাদকের গ্রাস। ফেনসিডিল, হেরোইন ছাড়িয়ে আজ ইয়াবার মতো অতি মারাত্মক এবং ধ্বংসকারী মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব সমাজের একটি অংশ। এ ছাড়া আধুনিক যুগের নামে ইন্টারনেটের অপব্যবহার করছে। শিক্ষাজীবন শেষ করার পরও দীর্ঘদিন ঘোরাঘুরি করে চাকরি না মেলায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। অনিশ্চিত জীবন থেকে মুক্তি নিতে মাদকে আসক্ত হচ্ছে। মাদক আমাদের যুব সমাজকে গ্রাস করছে। খুব ধীরে ধীরে আমাদের যুবক-যুবতীরা মাদকে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। যার ভয়াল ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে আমাদের মেধা, আমাদের ভবিষ্যৎ।বর্তমানে যুব শক্তি সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে দেশ ও জাতি উন্নতির স্বর্ণশিখরে পৌঁছবে। যুবকরা নিজে শিখবে এবং অন্যদের শেখাবে। আজ যারা কিশোর তারা কদিন পরই যৌবনে পদার্পণ করবে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে দায়িত্ব। সেটা যেমন নিজের প্রতি, পরিবারের প্রতি, তেমনি সমাজ ও দেশের প্রতিও সমান দায়িত্ব রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুবশক্তির বিকল্প নেই। তাই যুবশক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে। সৃষ্টিশীল কাজে তরুণদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে। তাদের ভেতরকার মেধাকে বাইরে এনে তা ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কাজের নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। দেশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে তরুণ সমাজের মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে ওরা পিছিয়ে পড়লে দেশ পিছিয়ে পড়বে।

পাঠকের মতামত: